নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের কাউনিয়া রেল স্টেশন বুকিং সহকারী মিশুক আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রংপুরের উপসহকারী পরিচালক এ কে এম নুরে আলম সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গত ১৫ মার্চ রংপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। গত ৭ মার্চ দুদক কমিশন মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মিশুক আল মামুন ২০২১ সালের ৩০ মে থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত যাত্রী আয় ও অন্যান্য আয়ের মোট ৩৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৫ জুন থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশনের বিভিন্ন আন্তঃনগর, কমিউটার, লোকাল ট্রেনের যাত্রী আয় ও অন্যান্য আয় বাবদ ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৬ টাকা, নগদ ক্যাশ ও ভাউচার বাবদ ৫ হাজার ৪৮০ টাকাসহ মোট ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৯৯৬ টাকা রেজিস্টার অনুযায়ী পাওয়া যায়। করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তখন রেলওয়ের বিধি মোতাবেক টাকাগুলো টিএ শাখায় অর্থাৎ রেলওয়ে রাজশাহী কোষাগারে ক্যাশ সেইফ/আয়রন সেইফের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু, সরকারি বিধি অনুযায়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কারণে স্টেশনে রক্ষিত ক্যাশ সেইফের (লোহার সিন্দুক) ভেতর সিলগালা অবস্থায় কাউনিয়া রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের নিয়ন্ত্রণাধীন বুকিং সহকারী মিশুক আল মামুনের হেফাজতে রক্ষিত ছিল। ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর স্টেশন মাস্টার বাবুয়াল রশিদ দেখতে পান হিসাবে গরমিল রয়েছে। মিশুক আল মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি নগদ টাকা দেখাতে পারেননি। সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তখন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে রেলওয়ে লালমনিরহাটের জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (বাণিজ্যিক) জহির উদ্দিন বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় একটি অভিযোগ (জিডি) দায়ের করেন। সেটি তফসিলভুক্ত হওয়ায় দুদক আমলে নিয়েছে।