Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 4:08 am

রেলের পরিত্যক্ত জমিতে হবে হাসপাতাল-মেডিকেল কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পিপিপির আওতায় চট্টগ্রামে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

রেলমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সিআরবির পাশে ছয় একর জমিতে ৪৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন এ হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা হবে।

তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলের যেসব জমি রয়েছে তা রেলের উন্নয়নের জন্য এখন কাজে লাগবে না। সেই পরিত্যক্ত জমিগুলো আমরা কীভাবে আরও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি, সেটার জন্য বর্তমান সরকারের নীতি অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর ৩০ শতাংশ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপে নেওয়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেই এগুলো দেখভাল করা হয়।

তিনি আরও বলেন, পিপিপির গাইড লাইন অনুযায়ী চট্টগ্রামে ৫০০ শয্যার একটি হাসপাতাল এবং ১০০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ হবে। প্রকল্পটি আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। রেলওয়েতে প্রথম একটি পিপিপি প্রকল্প হলো। আগামীতে রেলের জমিগুলো এভাবে প্রকল্প নিয়ে ব্যবহার করব।

এ প্রকল্পের বাজেট কত এবং হাসপাতালটি কোথায় হবেÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সিআরবির পাশেই ছয় একর জমিতে এ হাসপাতাল তৈরি করা হবে। ৫০০ বেডের হাসপাতাল ও ১০০ সিটের মেডিকেল কলেজ একসঙ্গে এক স্থানেই হচ্ছে। এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৮৬ কোটি টাকা। এটি ৫০ বছর মেয়াদি হবে। এরপর চুক্তি অনুযায়ী ৫০ বছর পর হাসপাতালটি রেলের হয়ে যাবে। আমরা দলমত নির্বিশেষে রেলের জায়গাগুলো রেলের অধীনে নিয়ে আসছি। এগুলো কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সেজন্য আমরা সেই প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি। পিপিপির অধীনে যাতে বড় ধরনের কোনো প্রকল্প করা যায়, সেই সুযোগও তৈরি করছি। আবার নিজেরা যাতে মার্কেট করে ভাড়া দিতে পারি, সে ব্যবস্থাও করছি।

কমলাপুর রেলওয়ে হাসপাতালে সেবার মান নেই, এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, সেবার মান বাড়াতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেখবেন হাসপাতাল ও বিভিন্ন ফার্মাসিকে আমরা আধুনিক করে ফেলেছি।