রেলে যাত্রীসেবার মান আরও বাড়ুক

 

কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসে প্রায় আড়াইশ আসন বাড়ছে বলে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে গতকালের শেয়ার বিজে। রাজশাহী-খুলনা রুটে চলাচলকারী এ ট্রেনটিকে নতুন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। ভারত থেকে আমদানি করা ১২টি নতুন কোচ যুক্ত হওয়ার পর ট্রেনটি এখন অপেক্ষা করছে রাজশাহী স্টেশনে। আগামী ১৯ মার্চ রেলমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই এটি যাত্রা শুরু করবে। ট্রেনটির কোচের সংখ্যা বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে এসি চেয়ার ও কেবিনের আসনসংখ্যাও। যাত্রীদের আগের তুলনায় আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতেই এ উদ্যোগ। এজন্য রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। গত এক-দেড় বছরে রেলবহরে অনেক নতুন কোচ যুক্ত হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ বিভিন্ন রুটে এগুলো এখন নিয়মিত চলাচল করছে। পুরনো কোচগুলোর চেয়ে উন্নত এসব কোচে ভ্রমণ করে স্বস্তি যেমন মিলছে যাত্রীদের, তেমনি টিকিট বিক্রি বাবদ রেলের আয়ও বেড়েছে। বাংলাদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে এখনও রেল একটি বড় ভরসার নাম।

রাজশাহী-খুলনা রুটের এ ট্রেনটি এ অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন। এখন দশ দিন আগে টিকিট দেওয়া হয়। জানা গেছে, ছাড়তে না ছাড়তেই ট্রেনটির সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। যাত্রীদের পক্ষ হতে এ ট্রেনের কোচসংখ্যা বাড়ানোর দাবি ছিল অনেকে আগে থেকে। এখন কোচসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি ওই রুটের যাত্রীরা নতুনভাবে সজ্জিত ট্রেনই উপহার পেলো সরকারের পক্ষ থেকে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ট্রেনটির আসন বিন্যাসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। লাল-সবুজের কোচগুলোতে এক আসন থেকে আরেক আসনের মধ্যে যথেষ্ট জায়গা রাখা হয়েছে বলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জানিয়েছেন। আশা করা যায়, এ রুটের যাত্রীরা আগামী ১৯ তারিখ থেকে নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পাবেন।

যদিও সার্বিকভাবে রেলওয়ে এখনও লোকসানি খাত হিসেবে চিহ্নিত; তবে আলাদাভাবে যাত্রীসেবার দিকটি বিবেচনা করলে দেখা যাবে টিকিট বিক্রির হার প্রতি বছর বাড়ছে। রেল কর্তৃপক্ষ গত দুই বছরে কয়েকটি রুটও বাড়িয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা-মোহনগঞ্জ রুটে আগে যেখানে দুটি লোকাল ট্রেন চলাচল করতো, এখন সেখানে আগেরগুলোসহ দুটি আন্তনগর ট্রেনও চলাচল করছে। এমন কোনো রুট নেই, যেখানে টিকিটের সংকট নেই। রেলের প্রতি মানুষের যে আস্থার জায়গাটি ছিল, তা ফিরে আসছে। রেলবহরে নতুন কোচ যুক্ত হওয়ার পর যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তার পরও আমরা মনে করি, রেলের সেবার মান বাড়ানোর আরও সুযোগ রয়েছে। লোকাল ট্রেনগুলোর অবস্থা সত্যিকার অর্থে খারাপ। কিছু ক্ষেত্রে আন্তনগর ট্রেনের মান এতটাই খারাপ যে, সেগুলোকে কেন আন্তনগর ট্রেনের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে, লোকে তা বুঝতে অপারগ। ট্রেনের প্রতি যাত্রীদের যে আস্থা ও ভালোবাসার প্রকাশ, সেটিকে আমলে নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষ কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসের মতো সব রুটের প্রতি মনোযোগ দেবেÑএ আমাদের প্রত্যাশা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০