(গতকালের পর)
বর্জনীয়
বরিয়ানি, খিচুড়ি, তেহারি ও পোলাও-জাতীয় খাবার বদহজমসহ সারাদিন হাঁসফাঁস ভাব, এমনকি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। চা-কফি পিপাসা ও অ্যাসিডিটি বাড়াতে পারে।
ইফতারে করণীয়
হƒদরোগ এড়াতে এক বসায় ইফতার ও রাতের খাবারের বদলে অল্প অল্প করে কয়েকবারে খান। ছোলা মসলা মিশিয়ে কড়া করে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খান। খেজুর, কলা ও পেঁপেজাতীয় ফল মেনুতে রাখুন। শসা-টমেটোর সালাদ ইফতারের মজাদার খাবারের ফলে গৃহীত বাড়তি ক্যালরি থেকে বিরত রেখে স্থূলতা প্রতিরোধ করবে।
বর্জনীয়
ধুলাবালি, মাছি ও পোকা বসা দোকানের খোলা খাবার উদরাময়সহ নানা রোগের কারণ হতে পারে। একই তেল দিয়ে বিভিন্ন পদের রান্না খাবারকে বিষময় করে তুলতে পারে। এগুলোয় ক্ষতিকর পদার্থ এমনকি মোবিল ব্যবহারের কথা শোনা যায়। ডুবো তেলে ভাজা খাবার, যেমন পেঁয়াজু, বেগুনি ইত্যাদি ট্রান্সফ্যাটে ভরপুর। পাতে কাঁচা লবণ বর্জনীয়।
ঘুম
শেষরাতে উঠে যাওয়া ছাড়া বিভিন্ন কারণে ঘাটতি ঘুম পূরণে সোশ্যাল মিডিয়া কম ব্যবহার করে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। দিনে ঘুমানোর সুযোগ থাকলে হাতছাড়া করবেন না। ঘুমানো সম্ভব না হলে হালকা ন্যাপ নিন।
রোগীদের জন্য বিশেষ উপদেশ
ডায়াবেটিসের রোগীরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ইনসুলিন বা এ-জাতীয় ওষুধ ও খাবারের চার্ট অ্যাডজাস্ট করে নিন। ইফতারের সময় বাড়তি ক্যালরি পরিহার করতে জিলাপি, বুন্দিয়া ও মিষ্টি পরিহার করা শ্রেয়। ডায়াবেটিসের পুরোনো রোগীরা ব্লাড গ্লুকোজের মাত্রা কমে ৪-এর নিচে গেলে মিষ্টি খেয়ে রোজা ভেঙে ফেললে বড় রকমের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
শরীরচর্চায় মানা নেই, হালকা শরীর চর্চা চালিয়ে নেয়া যেতে পারে। দিনে ৩০ মিনিট হাঁটাকে এই গোত্রে ফেলা যায়। বিকালের পরিবর্তে রাতে হাঁটাই উত্তম। তবে ভরপেট খাবার পর যথেষ্ট বিরতি দিয়ে হাঁটাই স্বাস্থ্যসম্মত। [শেষ]
মেজর ডা. খোশরোজ সামাদ
ক্ল্যাসিফাইড স্পেশালিস্ট ফার্মাকোলজি