ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তিন শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন, কাওছার ও ছাব্বির। রোবটের প্রতি ভীষণ আগ্রহ রয়েছে তাদের রোবট নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেন। আর এর ফলও পেয়েছেন এই তিন গবেষক। সাড়ে তিন মাসের চেষ্টায় একটি রোবট তৈরি করেছেন তারা। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘অটোমেটিক হাউস ক্লিনার অ্যান্ড লাইফ সেফটি রোবট’।
নির্মাতা হৃদয় হোসেন জানান, কথা দিয়ে রোবটটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন স্টার্ট বললে রোবটটি চলা শুরু করে। স্টপ বললে দাঁড়িয়ে যাবে। রোবটটি স্বয়ংক্রয়িভাবে ঘর পরিষ্কার করবে। পরিষ্কার করার পর দাঁড়িয়ে পড়বে। তিনি আরও জানান, বাড়িতে আগুন লাগলে কিংবা গ্যাস লিক হলে স্বয়ংক্রয়িভাবে একটা সিগন্যাল দেবে ও নিজেই, পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে দেবে। সন্ধ্যা নামার পর বাড়ির বাতি জ্বালাবে। সবচেয়ে বড় কথা, রোবটটি বাড়িতে থাকলে মশা-মাছি ঘরে ঢুকতে পারবে না। মোবাইল ফোন চুরির হাত থেকেও বাঁচাবে। ঘরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে পাখা ও এসি নিয়ন্ত্রণ করবে।
মজার বিষয়, সৌরশক্তি দ্বারা চার্জ দেওয়া হবে রোবটটিকে। ব্যবহৃত সৌরপ্যানেলে সূর্যকে কন্ট্যাক্ট করে ঘুরতে থাকবে। এছাড়া চলার সময় অন্ধকার পেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বালিয়ে নেবে। রোবটটি নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো রিমোট বা অন্য কোনো ডিভাইস লাগবে না। কেননা সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলে দাবি করেছেন নির্মাতারা।
বাসাবাড়ির পাশাপাশি হাসপাতাল ও কলকারখানায় রোবটটি ব্যবহার করলে অর্থনেতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে।
স্কিল কম্পিটিশন ২০১৭-তে ঝিনাইদহের ৩১টি প্রকল্পের মধ্যে রোবটটি শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে। এছাড়া গত ১ ডিসেম্বর আঞ্চলিক স্কিল কম্পিটিশন উপলক্ষে যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ১৩টি পলিটেকনিকের ৩৯টি প্রকল্পের সঙ্গে অংশ নিয়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করে।
ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির বিভাগের প্রধান রবিউল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির জন্য মানুষের পাশাপাশি রোবটকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ