শেয়ার বিজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের কক্সবাজার অঞ্চলে অতিমাত্রায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। গতকাল লন্ডনের বিখ্যাত চ্যাথাম হাউসে এক সংলাপে তিনি একথা বলেন।
গতকাল লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগে গঠিত ৪৫ কোটি ডলারের জলবায়ু তহবিলসহ অন্যান্য বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন মন্ত্রী। সংলাপে চ্যাথাম হাউসের চেয়ারম্যান বার্নিস লি, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ, রাষ্ট্রদূত সাইদা মোনা তাসনিমসহ অন্যরা উপস্থিতি ছিলেন।
চলতি বছরের নভেম্বরে জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে। ওই সময়ে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ, যারা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের জন্য যৌথভাবে পৃথক একটি অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার লন্ডনে কপ-২৬-এর প্রেসিডেন্ট ডেজিগনেট অলোক শর্মার সঙ্গে এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দূতাবাস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। এজন্য সিভিএফ কপ-২৬ যৌথ অনুষ্ঠানে আগ্রহী বাংলাদেশ। অলোক শর্মার সঙ্গে আলোচনায় মন্ত্রী সবুজ প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ এবং জলবায়ুর প্রভাব হ্রাসের জন্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো করার ওপর জোর দেন। এর উত্তরে অলোক শর্মা জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সর্বাত্মক সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেন। তিনি সবুজ অর্থায়ন ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত সাইদা মোনা তাসনিমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।