শেয়ার বিজ ডেস্ক: মিয়ানমারে সব ধরনের সহিংসতার অবসান এবং দেশটির গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিসহ সব রাজবন্দির মুক্তির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। গত ৭৪ বছরের মধ্যে দেশটির বিষয়ে এ ধরনের প্রথম প্রস্তাব এটি। এতে রোহিঙ্গা সংকটের নেপথ্যের সব কারণ চিহ্নিত এবং তাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর: রয়টার্স।
গত বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্যের আনা এ প্রস্তাব ১২-০ ভোটে গৃহীত হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য দেশগুলোর তিন মাস ধরে আলোচনার পর এদিন যে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে, সেটি উপস্থাপন করে যুক্তরাজ্য। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো সদস্য ভোট দেয়নি। এমনকি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কোনো সদস্য ভেটোও দেয়নি। তবে ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে চীন, ভারত ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।
যুক্তরাজ্যের উপস্থাপিত প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, আমরা আজ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে একটি দ্ব্যর্থহীন বার্তা দিয়েছি। এ নিয়ে তাদের কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয়। আমরা আশা করছি, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এ প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে। আমরা মিয়ানমারের জনগণের কাছেও একটি পরিষ্কার বার্তা পাঠিয়েছি। আমরা তাদের অধিকার, তাদের ইচ্ছা এবং তাদের স্বার্থের জায়গাগুলোয় উন্নতি চাই।
মিয়ানমারের সংকট কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভক্তি রয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। মিয়ানমারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ দুই মিত্র চীন ও রাশিয়া দেশটির বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের শক্তিশালী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আসছে।
মিয়ানমারের বিষয়ে এ গৃহীত প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সংকট মোকাবিলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক শাসনের ক্রমবর্ধমান দমন-পীড়ন ও সহিংসতার অবসান ঘটাতে এটি নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ।