নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো সুপারিশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, তারা শুধু আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মানবিক কার্যক্রমে বাংলাদেশকে সহায়তায় কাজ করছে। গতকাল রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান স্পষ্ট করতে তাদের ওয়েবসাইটে ছয়টি বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হয়। সেখানে তারা বলে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের রাখতে বলেছে বিশ্বব্যাংকÑএ তথ্য সঠিক নয়।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সংস্থাটি বলছে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোকাবিলায় তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা করছে। আয়োজক সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব কমাতে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের মূল সমাজে অন্তর্ভুক্ত করা বা রেখে দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবে ঢাকা রাজি নয়। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, সেটা বাংলাদেশের জন্য নয়, ১৬টি দেশের জন্য প্রযোজ্য। আমাদের অগ্রাধিকার ইস্যু হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন, রোহিঙ্গারা ফিরে যাবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা প্রসঙ্গে সংস্থাটির ভাষ্য, শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কাঠামো অনুসরণ করে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) পর্যালোচনাটি করেছে। ইউএনএইচসিআরের বিদ্যমান নীতি, অনুশীলন এবং কর্মসূচির ওপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করেছে বিশ্বব্যাংক।
শরণার্থী নীতিমালার পর্যালোচনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিশ্বব্যাংক বলছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্য, অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্যকর সড়কসহ মৌলিক অবকাঠামো, সৌরবাতি ও দুর্যোগ প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে ৫৯০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার অঙ্গীকার করেছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি বিশ্বব্যাংকের গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কক্সবাজারের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ ও অগ্রাধিকার কী, সেটা বুঝতে সহায়তা করছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে ৫৯০ মিলিয়ন ডলার দেয়া হয়েছে। যার পুরোটাই অনুদান, ঋণ নয়। সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, এই মুহূর্তে শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে এমন ১৪টি দেশের প্রতিটির জন্য এ পর্যালোচনা করা হয়েছে।
