নিজস্ব প্রতিবেদক: লাখ লাখ রোহিঙ্গা ‘শরণার্থীর’ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল এ অনুরোধ করা হয়েছে বলে বিশ্বব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তার কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার, আশ্রয়দাতা জনগণ এবং আশ্রিত ‘শরণার্থীদের’ পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক এ দাতা সংস্থাটি প্রস্তুত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশের নিজ দেশেই দারিদ্র্য সমস্যা রয়েছে। তার ওপর রোহিঙ্গাদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর তাদের প্রয়োজন পূরণ করাটা বাংলাদেশের সক্ষমতায় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্বব্যাংক সহায়তা কর্মসূচি নিচ্ছে। কী পরিমাণ সহায়তা দেওয়া হতে পারে তার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে এ সহায়তা কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, স্যানিটেশন এবং রাস্তা নির্মাণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বলে সংস্থাটির সূত্রে জানা গেছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, পরিস্থিতি বাংলাদেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এখনও প্রতিদিন নতুন আশ্রয়প্রার্থীরা আসছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশি জনগণের ভ‚মিকার প্রতি সরকার কৃতজ্ঞ। তবে পরিস্থিতি দৃষ্টে বৈশ্বিক পর্যায়ের মানবিক উদ্যোগ জরুরি। এ অবস্থায় আমরা বিশ্বব্যাংকের সহায়তা প্রত্যাশা করছি।
অর্থমন্ত্রীর এ অনুরোধের বিপরীতে জানানো হয়েছে, অতিদরিদ্রদের জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) নামে বিশ্বব্যাংকের তহবিল রয়েছে। ‘শরণার্থীদের’ জন্য সেখান থেকে একটি বিশেষ অর্থায়ন পেতে পারে বাংলাদেশ সরকার। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিতি ডিক্সন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচন এবং অগ্রগতি অর্জনের চেষ্টা করছে। পাশাপশি রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ, যাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা আশা করি যে ‘শরণার্থীরা’ তাদের বাড়িতে দ্রুত ফিরে যেতে পারবে। এ মুহূর্তে ‘শরণার্থী’ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং আশ্রয়দাতা জনগণকে সহায়তা করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের খুবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য আমরা সম্ভাব্য সব কিছুই করব।’
