নিজস্ব প্রতিবেদক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন’বিষয়ক এ জাতীয় সংলাপের আয়োজন করে বার্তা ও টেলিভিশন প্যাকেজ অনুষ্ঠান প্রযোজনা সংস্থা হোম মিডিয়া এবং ল্যান্ডমার্ক পাবলিকেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন হাউজ লিমিটেড (এলটিভি বাংলা)।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার যাদের ওপর নির্ভরশীল, তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীন অবশ্যই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন যদি বিলম্বিত হয় এবং অনিশ্চয়তা দেখা দেয়, তাহলে শুধু বাংলাদেশ ও মিয়ানমারেরই ক্ষতি হবে না, যারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করেছেন, তারাও যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অত্যন্ত ভীতু প্রকৃতির, তারা তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। আমরা মিয়ানমারকে কিছু শর্ত দিয়ে বলেছি, আপনারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিয়ে গিয়ে দেখান, তাদের নাগরিকত্ব দিন এবং তাদের স্বাধীনভাবে থাকা ও চলাফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে সারা বিশ্বে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সারা বিশ্ব এখন বাংলাদেশের প্রশংসা করে। যা কোটি কোটি টাকা খরচ করেও অর্জন সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশের সবাইকে শেখ হাসিনার প্রতি যথেষ্ট কৃতজ্ঞ থাকা দরকার।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন বাংলাদেশের পক্ষে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
