নিজস্ব প্রতিবেদক: আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের সীমিত সম্পদের ওপর মারাত্মক বিরূপ প্রভাব সৃষ্টি করছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোহিঙ্গার আগমনের ফাঁকে রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় নানা সংস্থা নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করতে পারে। এ অবস্থা বাংলাদেশের জন্য প্রচলিত নিরাপত্তা ঝুঁকির পাশাপাশি খাদ্য, স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ নানামুখী সংকট সৃষ্টি করবে। এ-কারণে বাংলাদেশকে সার্বিক নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।
নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ’ (বিআইপিএসএস) গতকাল বুধবার এক প্রতিবেদনে এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা সমস্যার সমৃদ্ধ ও বিস্তৃত একটি সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে। অন্যথায় জাতীয় ও আঞ্চলিক নানা সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বর্তমান ভ‚রাজনৈতিক মেরুকরণের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বস্তুত একা লড়তে হচ্ছে ইস্যুতে। এ অঞ্চলের মুখ্য শক্তিগুলো উদ্ভ‚ত সংকটে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে। দেখা যাচ্ছে ভারত ও চীনের সুস্পষ্ট আর্থিক স্বার্থ রয়েছে মিয়ানমারে। ফলে বাংলাদেশের প্রতিবেশী অঞ্চলে ক‚টনীতির একটি নতুন মেরুকরণের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
এ-ছাড়া প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়া ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা নানাবিধ সংকটের মুখোমুখি করছে বাংলাদেশকে। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ মাদক পাচারের বৈশ্বিক রুট হিসেবে পরিচিত ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ ও ‘গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ খুবই কাছাকাছি।
এ অবস্থায় রোহিঙ্গা আশ্রিতদের চোরাচালানের কাজে সহজে যুক্ত করতে চোরাচালানকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এ-ছাড়া অরাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গ্রæপগুলো এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে। সার্বিক অবস্থার বিশ্লেষণ করে এসব ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে আরও বিস্তৃতভাবে ভাবনার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
Add Comment