Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 2:25 pm

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় হামলা, নিহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক:  কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ নামের একটি মাদ্রাসায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ছয় জন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ভোররাতে সংঘটিত এ হামলায় প্রথমে ঘটনাস্থলে চার জন ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়।

শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত মাদ্রাসাটিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার।

নিহতরা হলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইদ্রিস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ -৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২)। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫) ।

এদিকে হামলার খবর শুনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।

এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা ‘মদুতুল উম্মা’ মাদ্রাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করছেন। অন্যান্য ক্যাম্প এলাকাতেও ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে উখিয়া থানা পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল এবং মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা তদারকি করছে। 

 এর আগে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপর হয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটলো।