প্রতিনিধি, সিলেট: ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টির পর ১৩৯টি এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল। এদের মধ্যে অপকর্মে লিপ্ত থাকায় তালিকা করে ৪১টি এনজিওকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল দুপুরে দক্ষিণ সুরমায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেডিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এখনও বিভিন্ন এনজিও একই কাজ করছে। সে ধরনের তথ্যের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি এনজিও নানাভাবে তদবির করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার।’
এর আগে গত বুধবার মুক্তি নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের ছয়টি প্রকল্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এনজিওবিষয়ক ব্যুরো। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে ধারালো অস্ত্র তৈরি করে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিতরণের অভিযোগ আছে। এছাড়া রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর নানা অভিযোগে এর আগে ছয়টি এনজিওর কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এগুলো হলোÑইসলামিক রিলিফ, ইসলামিক এইড, মুসলিম এইড, স্মল কাইন্ডনেস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ চাষি কল্যাণ সমিতি ও নমিজান আফতাবি ফাউন্ডেশন।
উল্লেখ্য, রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি এনজিওর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার তাদের খাদ্য, অস্থায়ী বাসস্থান, চিকিৎসা, বস্ত্র, লেখাপড়া, বিনোদনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদে রাখাইনে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ৪১ এনজিও প্রত্যাহার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
