নিজস্ব প্রতিবেদক: জাহাজ থেকে পাম অয়েলসহ অন্যান্য তেল চুরি করেন। সেসব তেলের সঙ্গে ভেজাল তেল মিশিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেন। চোরাই ও ভেজাল তেল বিক্রির সময় র্যাবের কাছে ধরাও পড়েছেন। র্যাবকে ঘুষ দেয়ারও চেষ্টা করেছেন নারায়ণগঞ্জের রফিকুল ইসলাম, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মঙ্গলবার উপসহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ ‘দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২’-এ মামলাটি করেছেন।
এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১-এর সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ছয়হিয্যা এলাকায় অভিযান চালান। সেখানে চোরাই পাম অয়েলসহ রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। তিনি কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। বিষয়টির জন্য আইনি ব্যবস্থা না নিতে র্যাবকে ১০ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫০ টাকা ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করেন রফিকুল ইসলাম।
এজাহারে বলা হয়, মোট তিনটি নৌকা থেকে ২২০ ব্যারেল, অর্থাৎ প্রতি ব্যারেলে প্রায় ১৯০ লিটার হিসেবে ৪১ হাজার ৮০০ লিটার পাম তেল জব্দ করা হয়। প্রতি ব্যারেলের দাম সাত হাজার টাকা হিসাবে মোট মূল্য ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রফিকুল ইসলাম চোরাই ও ভেজাল তেল নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন। জব্দ তিনটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা র্যাবের হেফাজতে রয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, দণ্ডবিধির ১৬৫ ধারায় মামলাটি করা হয়। দুদক কমিশন গত ২৫ মে মামলাটি করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে।