ক্রীড়া প্রতিবেদক: টানা ১২ বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী সালাউদ্দিন। কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে তার হাত ধরে এ দেশের ফুটবলে বলার মতো তেমন উন্নয়ন হয়নি। ব্যাপারটি হয়তো নিজেও জানেন এক সময়ের মাঠ কাঁপানো এ তারকা।
আর তাই আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে আগামী চার বছরের মধ্যে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশকে ১৫০ এর মধ্যে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাফুফে নির্বাচন। এ নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে সম্মিলিত পরিষদ প্যানেনের ব্যানারে সভাপতি পদে লড়বেন কাজী সালাউদ্দিন।
তাই রোববার ইশতেহার ঘোষণা করেছে তার পরিষদ। রোববার হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন সালাউদ্দিন। সেখানেই দীর্ঘ এক যুগ ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই ফুটবলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এবারের ভোটে নির্বাচিত হলে ফিফার র্যাংকিংয়ে জাতীয় দলের বড় উন্নতি ঘটাতে কাজ করবেন তিনি।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বর্তমানে ১৮৭ নম্বরে বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে বর্তমান বাফুফে সভাপতি সালাউদ্দিন এবার জোর দিয়েই বলেছেন, এবার ক্ষমতায় আসলে ২০২৪ সালের মধ্যে জাতীয় দলকে র্যাংকিংয়ে ১৫০-এর কাছাকাছি অবস্থানে আনার চেষ্টা করবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় উন্নতমানের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগতভাবে মনিটরিংয়ের আওতায় আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সালাউদ্দিন।
আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হলে পুরুষ দলের পাশাপাশি নারী দলের দিকেও নজর দেবেন সালাউদ্দিন। বর্তমানে সালমা খাতুনরা অবস্থান করছে ১৩৪ নম্বর র্যাংকিংয়ে। তবে বাফুফে সভাপতি এবং তার প্যানেল রোববার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নারী দলের উন্নয়ন ঘটিয়ে তাদের একশর মধ্যে আনা হবে।
এবারের বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদের জন্য লড়াই করবেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন, বাদল রায় এবং শফিকুল ইসলাম মানিক। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফে নির্বাচন। এক নজরে সম্মিলিত পরিষদ সভাপতি : কাজী মো. সালাউদ্দিন।
সিনিয়র সহ-সভাপতি : আবদুস সালাম মুর্শেদী। সহ-সভাপতি : কাজী নাবিল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান মানিক। সদস্য : হারুনুর রশিদ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইলিয়াছ হোসেন, বিজন বড়ুয়া, অমিত খান শুভ্র, ইকবাল হোসেন, মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, মো. জাকির হোসেন, মাহফুজা আক্তার কিরণ, আসাদুজ্জামান মিঠু, কামরুল হাসান হিলটন, সৈয়দ রিয়াজুল করিম, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও নুরুল ইসলাম নুরু।