র স না লো ভ ন: খেজুরের গুড়

শুধু রসনাবিলাস নয়, খাদ্য গ্রহণকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা বরাবরই ছিল, আছে বাঙালির চিন্তা ও রুচিতে। খাবারের পদবৈচিত্র্য তাই এ জনপদজুড়ে। এবার ফরিদপুরের বিখ্যাত খেজুরের গুড়ের কথা জানাচ্ছেন শিপন আহমেদ

শীত এসেছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে সুস্বাদু খেজুরের রস ও গুড়ের মৌসুম। বাঙালির আবহমান ঐতিহ্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শীতের পিঠাপুলি। এ পিঠাপুলি তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে খেজুরের গুড় ও রস। এগুলো ছাড়া যেন শীতের আমেজই পাওয়া যায় না। পিঠা তৈরিকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাড়িতে চলে আনন্দ উৎসব। পুরো শীতজুড়ে চলে নানা ধরনের পিঠা খাওয়ার ধুম।

ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী খাবার খেজুরের গুড়। বাহারি খাবার তৈরিতে এ গুড়ের সুখ্যাতি রয়েছে। জেলার বিভিন্ন সড়কপথ, রেললাইনের পাশ, জমির আইল, বাড়ির আঙিনাজুড়ে রয়েছে খেজুরগাছের বিস্তৃতি। জেলায় সবচেয়ে বেশি খেজুরগাছ রয়েছে নগরকান্দা উপজেলায়। এখন চলছে এ সুস্বাদু খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। শীত আসার সঙ্গে এ জনপদে অবহেলা আর অনাদরে বেড়ে ওঠা খেজুরগাছের পরিচর্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে গাছ থেকে রস সংগ্রহকারী গাছিরা সকাল-সন্ধ্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। খেজুরের রস থেকে তৈরি হবে পাটালি ও ঝোলা গুড়। এখানকার হাজারী পাটালী গুড়ের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।

খেজরের গুড় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা ও মিষ্টান্ন তৈরি হয়। যেমন ভাপা পিঠা, শাহি ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, কুলি পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, চুসি পিঠার পায়েস, মেরা পিঠা, বিবিখানা পিঠা, কলার পিঠা, ইলিশ পিঠা, চাপাতি পিঠা, নকশি পিঠা, চিঁড়ার মোয়া, মুড়ির মোয়া, নারিকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু খইয়ের মোয়া, খেজুর মালপোয়া, ক্ষীর, ফিরনি, কাটা পিঠা, চুই পিঠা, বাঁধাকপির পায়েস, ফুলকপির পায়েস, লাউ ও গাজরের পায়েস, বরফি, ছানার পায়েস, দোল্লা পিঠা, ক্ষীরসা, শরবত প্রভৃতি। পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এসব পিঠা তৈরি করা হয়। বিশেষ করে অথিতি আপ্যায়ন, বর-কনের বাড়িতে অনুষ্ঠান, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উপহার পাঠানো প্রভৃতি উপলক্ষে নানা স্বাদের পিঠা বানানো হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০