Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 5:20 pm

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৩২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ বিস্তার নিয়ন্ত্রণে জারি করা ‘কঠোর লকডাউনের’ দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ‘অপ্রয়োজনে’ বের হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার চালানো হয়। এতে ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তার ছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০৮ জনকে জরিমানা করেছে। আর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জরিমানা করেছে ৬৮টি গাড়িকে।

লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় গ্রেপ্তার করা হয় ৫৫০ জনকে। তারা ‘অপ্রয়োজনে’ ঘর থেকে বের হয়েছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য। গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তারের সংখ্যা কম হতে পারে বলে সকালেই ধারণা দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।

গতকাল দুপুর পর্যন্ত কলাবাগান, পান্থপথ থেকে চারজনকে থানায় নেয়া হয়েছে। তাদের ভ্রাম্যামণ আদালতে শাস্তি দেয়া হবে নাকি মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানালেন কলাবাগান থানার এসআই পলাশ চন্দ্র কর।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আমেনা বেগম বলেন, ‘আমাদের মাঠের সদস্যরা পাঁচজনকে থানায় নিয়ে এসেছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে।’

দুপুর পর্যন্ত ১২ জনকে মিরপুর থানায় নেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিউটি অফিসার নুরুজ্জামান বলেন, ‘ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা কথা বলে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।’

পুলিশ বলছে, সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরও যারা যৌক্তিক কারণ ছাড়া রাস্তায় বের হয়েছে কিংবা স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

কভিড সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য এ কঠোর লকডাউন শুরু হয়। সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় মাঠে রাখা হয়েছে ১০৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে।

অফিস-আদালত, গণপরিবহন, শপিংমল বন্ধ; জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া সব যান্ত্রিক বাহন চলাচলেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ঘরে থাকার। এ বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে হুশিয়ার করা হয়েছে।

লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৫০ জন। তারা ‘অপ্রয়োজনে’ ঘর থেকে বের হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য। তবে শুক্রবার গ্রেপ্তারের সংখ্যা কম হতে পারে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার বলেন, ‘একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে শুক্রবার ছুটির দিন। এমনিতেই মানুষ রাস্তায় কম বেরিয়েছে।’

মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম জানান, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে কতজনকে গ্রেপ্তার বা শাস্তি দেয়া হলো তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য বিকালের পর দেয়া হবে।