নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে আগামী বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করেছিল সরকার। তবে বাদ সাধেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকরা। তারা দাবি করেন, কারখানা বন্ধ করলে ক্রয়াদেশ হারাবে বাংলাদেশ। তাছাড়া শ্রমিকরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিলে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউনে শিল্পকারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গতকাল রোববার বেলা ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ অংশ নিয়েছেন।
বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন হলেও শিল্পকারখানা চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, লকডাউনে শিল্পকারখানা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। মানুষের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া ব্যাংক বন্ধ থাকতে পারে। তাতে আমদানি রপ্তানিতে সমস্যা হবে। এ বিষয়েও পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অবশ্য সরকার এ বিষয়ে এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। আজ প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে রোববার দুপুরে লকডাউনে পোশাক ও বস্ত্র কারখানা খোলা রাখার দাবি জানায় পোশাক খাতের চার সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমইএ ও ইএবি।
