নিজস্ব প্রতিবেদক: ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে দাবি করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “সীমান্ত বন্ধ করার মতো পরিস্থিতি ‘এখনও হয়নি’। ওমিক্রন মোকাবিলায় একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এরইমধ্যে ‘অনেকগুলো সিদ্ধান্ত’ নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বেশকিছু কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এ মুহূর্তে বর্ডার বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। এখনও এমন পরিস্থিতি হয়নি যে বর্ডার বন্ধ করতে হবে বা লকডাউন দিতে হবে। সীমান্ত এলাকার প্রতিটি বর্ডারে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
গতকাল সাভারে নবনির্মিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি। ইতোমধ্যে জেলায় জেলায় চিঠি দিয়েছি, তারা যেন ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেন।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া কভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের তিন ডজন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে এ পর্যন্ত চারজনের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়ার খবর দিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।
তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার সাত দেশ থেকে আসার ৪৮ ঘণ্টা আগে কভিড পরীক্ষা করা, দেশে আসার পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়েছে। সীমান্তেও পরীক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ঢাকায় যেসব হাসপাতালে কভিড চিকিৎসা হয়, সেগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশের বাইরে আছেন, তাদের এই মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। পরিবার ও দেশকে নিরাপদে রাখার জন্য এই মুহূর্তে আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। দেশকে নিরাপদে রাখুন এবং আপনারাও নিরাপদে থাকুন।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।