Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 1:54 am

লকডাউন বাড়বে কি না, সিদ্ধান্ত আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মহামারি কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আরেক দফা বিধি-নিষেধ বাড়ানো হচ্ছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হবে। আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় তা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে সরকারি সূত্র।

এ লক্ষ্যে কভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে সরকার। আজ বেলা ১১টায় মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

সভায় ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেবেন। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ঈদের সময় আট দিন বিরতি দিয়ে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। তা শেষ হবে ৫ আগস্ট মধ্যরাতে। এরই মধ্যে গত ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কভিড পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কঠোর বিধি-নিষেধ বাড়ানোর আভাস পাওয়া গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলমান বিধি-নিষেধ শেষে নতুন করে যে বিধি-নিষেধ দেয়া হবে, তাতে সরকারি-বেসরকারি অফিস সীমিত পরিসরে খুলবে। আর গণপরিবহন সীমিত পরিসরে চালু করা হতে পারে। রপ্তানিমুখী শিল্প-কলকারখানা চালু রাখা হবে।

কভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত ৩০ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, আমরা আরও ১০ দিন বিধি-নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।

তিনি জানান, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কীভাবে এ সংক্রমণ সামাল দেব? রোগীদের কোথায় জায়গা দেব? সংক্রমণ যদি এভাবে বাড়তে থাকে তাহলে কি পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব? অবস্থা খুবই খারাপ হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এসব বিবেচনায় আমরা বিধি-নিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করেছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশের বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গত ৩১ জুলাই জানান, সেটি অবশ্যই আমাদের মাথায় আছে। কারণ সবকিছুর সমন্বয় আমাদের করতে হবে। সেজন্য আমরা বলছি যে, একটু সময় নেব। ৩ বা ৪ আগস্ট এ বিষয়টি পরিষ্কার করে দেব।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিভিন্ন প্রস্তাব আছে, সেগুলো বিবেচনা করে কীভাবে করলে এ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, সেটি আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের কাজকর্মগুলো, যেগুলো একেবারেই অপরিহার্য, সেগুলো চালানো। সেটি কী করলে ভালো হবে, সেজন্য আরেকটু সময় আমাদের লাগবে।