Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:23 am

লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পাবে নতুন বই

নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্যা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে ১ লক্ষের অধিক শিক্ষার্থীর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সকল শিক্ষার্থীদের জন্য আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে জেলা পর্যায়ে নতুন পাঠ্যবই পাঠানো হবে। এর বাইরে আরও চাহিদা আসলে তাদের কেউ পাঠ্যবই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।

রোববার (১৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা জানিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তক নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণি ও ভোকেশনাল স্তরে সিলেটে ১৪ হাজার ৭৭৯ ও সুনামগঞ্জে ৪২ হাজার ৭৫৫ সেট। এসএসসি ও দাখিলে ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের সিলেটে ৬৮২ ও সুনামগঞ্জে ১০ হাজার ৫৮৬ সেট, ইবতেদায়ী ও দাখিলে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণির সিলেটে ১০ হাজার ১৪০ ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৫৫৮ সেট বিতরণ করা হবে। সেই হিসেবে সিলেটে মোট ২৫ হাজার ৬১০ ও সুনামগঞ্জে ৭৬ হাজার ৮৯৯ সেট বই পাঠানো হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জের উল্লেখিত পাঠ্যপুস্তকসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং নরসিংদী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে এসব বই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর অতিরিক্ত চাহিদা থাকলে এনসিটিবির গুদাম (বাফা) থেকে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ করে দেওয়া হবে না। তবে শিক্ষকদের প্রাইভেটে পড়লে নম্বর বেশি পাবে না পড়লে কম পাবে, বাধ্য করে কোচিংয়ে নেওয়া এসব অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে। এটি বন্ধ করতে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না।

তিনি বলেন, এসব বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং/গভর্নিং বডির সদস্য, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। তার সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শুধু আইন করে কোনও কিছু বন্ধ করা সম্ভব হয় না। সকলে সচেতন হলে অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী প্রমুখ।