প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ইউনিয়নে জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৩৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবলীগ নেতা আবদুল্লা আল নোমানের বড় ভাই ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুর রহমান বুধবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। মামলায় চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদিকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল কিশোর মজুমদার জানান, মামলার এজাহারে বিগত ইউপি নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদির সঙ্গে বাদী মাহফুজুর রহমানের পূর্বশত্রুতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে নোমান ও রাকিবের পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, মামলার প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে আছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে চলে গেছে। তাই তাদের গ্রেপ্তারে কিছুটা দেরি হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।