Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 12:47 am

লক্ষ্মীপুরে মুড়ির দাম কেজিতে বাড়লো ৪০ টাকা

প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর: নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবকে পুঁজি করে লক্ষ্মীপুরে বাড়লো মুড়ির দাম। সে সাথে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে মোটা চালের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুড়ির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

গত বছরের রমজানে এই সময়ে যে মুড়ির দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এবারে রমজান আসার আগেই সেই মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। শুধু তাই নয়, হাতে ভাজা মুড়ি বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে মেশিনে প্রক্রিয়াকরণ করে ভাজা মুড়ি। দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা।

গত রমজানে এই মুড়ি বিক্রি হয়েছিল কেজি প্রতি ৫৫ টাকা করে। এজন্য চালের দাম বেড়ে যাওয়াকেই দুষছেন বিক্রেতারা। জেলার বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা মুড়ির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে মুড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বচসা লেগেই আছে।

খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বিআর-২৮ চালের মুড়ি ৮০ থেকে থেকে ৯০, বিআর-২৯ চালের মুড়ি ৭৫ থেকে ৮০, গুঠি স্বর্ণা চালের মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বিভিন্ন ব্রান্ডের প্যাকেটজাত মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি কেজি মুড়ি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাড়তি দামের কারণে ক্রেতারা দুষছেন খুচরা বিক্রেতাদের।

খুচরা বিক্রেতা দুষছেন সরবরাহকারীদের। সরবরাহকারীরা দুষছেন মিলার ও ফ্যাক্টরি মালিকদের। এদিকে মহামারি করোনার প্রাদূর্ভাবের কারণে বাজারে চালের সংকট হয়েছে। তাই চাহিদা মেটাতে পারছেন না তারা। জেলার কয়েকজন মিল মালিক ও পাইকার জানান, উৎপাদন পর্যায়ে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে। একটি উৎপাদন কারখানায় এক সপ্তাহ আগেও দৈনিক যেখানে উৎপাদন হতো ২২০ থেকে ২৩০ বস্তা মুড়ি (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) সেখানে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বর্তমানে তা নেমে এসেছে মাত্র ৪০ থেকে ৫০ বস্তায়।

এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে। পাইকার থেকে যে মুড়ি কেজিপ্রতি ছাড়া হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। জেলা বণিক সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন টিপু বলেন, নিত্যপণ্যের সাথে কয়েকজন ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে । এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছি ।