লক্ষ্মীপুরে কলা চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতে করে এ অঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলার আবাদ। অনেকে তাই বাড়ির পাশে পতিত জমিতেও কলার আবাদ করে বাড়তি আয়ের পথ সুগম করছেন, স্বাবলম্বী হচ্ছেন। স্বল্প পুঁজিতে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকের। এখানকার উৎপাদিত কলা গুণগত মানে ভালো হওয়ায় এর বেশ চাহিদা রয়েছে। আর দাম ভালো পেয়ে খুশি এ অঞ্চলের কৃষক। এবার উৎপাদিত কলা থেকে ২৫ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন, টুমচর, ভবানীগঞ্জ, কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চরলরেঞ্চ, চরকালকিনিসহ রামগঞ্জ উপজেলার পানপাড়া ও রামগতি উপজেলার চরগজারিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বাংলা, চাঁপা, আনাজ ও সবরিসহ বিভিন্ন জাতের কলার আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকরা বলেছেন, কলা চাষে তাদের খুব বেশি খরচ হয় না। সার ও কীটনাশকও তেমন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে না। উৎপাদন খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে তাদের।
সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট ও পানপাড়ার শাহীন হোসেন, খোরশেদ আলম, নীরব মজুমদার ও নজির উদ্দিনসহ কয়েকজন কলাচাষি বলেন, স্বল্প খরচে কলার আবাদ করে ভালো আয় করা যায়। তাছাড়া এ অঞ্চলের কলার মান ভালো হওয়ায় বেশ চাহিদা রয়েছে। এতে বাজারদর ভালো পেয়ে খুশি তারা। তবে স্থানীয় কৃষি অধিদফতরের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা পেলে কলা চাষে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবেন বলে জানান তারা।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে দেশীয় জাতের বাংলা কলার চাহিদা রয়েছে। ফলে চাষির পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন তারাও।
লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৪০০ হেক্টর জমিতে কলাবাগান রয়েছে। স্বল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষির। তাছাড়া কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও কলাচাষিদের নানা ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এবার উৎপাদিত নানা জাতের কলা থেকে ২৫ কোটি টাকা আয় হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষকের মাঝে উন্নত জাতের কলার চারা সরবরাহ করা গেলে এ অঞ্চলে কলার আবাদ যেমন বাড়বে, তেমনি কলা চাষে আরও লাভবান হবেন কৃষক।
জুনায়েদ আহম্মেদ, লক্ষ্মীপুর