লক্ষ্মীপুর ও জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

শেয়ার বিজ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে জয়পুরহাটে সবুজ আলী হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার এ রায় দেন সংশ্লিষ্ট আদালত। 

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। গতকাল বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত থাকলেও বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এদিকে মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন গোলাম রাব্বানী ও সোহেল। জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মধু, মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, শামিম ও কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, বোরহান, তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন ও টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে যুবলীগ নেতা মামুনের সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জের সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে বিরোধ ছিল। জিসানকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করলে যুবলীগ নেতা মামুনকে দায়ী করে জিসান। পরে জিসান র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুমিল্লায় নিহত হন। এজন্য মামুনকে দায়ী করেন জিসান অনুসারীরা। জিসানের মৃত্যুর পর তার ভাই সৌদি প্রবাসী তুহিন যুবলীগ নেতা মামুন ও তার সঙ্গী ওমর ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে ২০১৫ সালের ১৮ মে রাতে মামুন ও ওমর ফারুক মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে জিসানের অনুসারীরা তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে মামুন মাথা, পেট ও বুকে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ওমর ফারুক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে রক্ষা পান। গুলিবিদ্ধ মামুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চন্দ্রগঞ্জের একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই ফকরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন জানান, যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদকে হত্যা মামলায় আদালত পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ আসামির যাবজ্জীবন ও দুইজনকে খালাস দিয়েছেন।

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে সবুজ আলী হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দেন। এছাড়া তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফ নগর গ্রামের কাদের ব্যাপারীর ছেলে কাফি ও মৃত শওকত আলীর ছেলে সাদিকুল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ আগস্ট রাতে জয়পুরহাট সদর উপজেলার খনজনপুর এলাকায় আসামিরা সবুজ আলী নামে এক  যুবককে গলায় কাঁচা পাটের আঁশ পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন সকালে বেড়িবাঁধের নিচের একটি পাটক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের তৎকালীন এসআই কাইয়ুম আলী বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০