Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:35 pm

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আমন উৎপাদন

প্রতিনিধি, লালমনিরহাট: গত কয়েক বছরের মতো এবারও কয়েক দফা বন্যা হয়েছে লালমনিরহাটে। সঙ্গে বর্ষণ, উজান থেমে নেমে আসা ঢল কেড়ে নেয় কৃষকের ফসল। তারপরও এবার কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হচ্ছে আমন। আমন ধান কাটার শুরুতেই এই লক্ষ্যমাত্রার উৎপাদন পার করেছেন জেলার কৃষকরা। ধানকাটা শেষে রবি ফসলের জন্যও জমি প্রস্তুত করছেন।

এবার জেলার চরাঞ্চলে আগাম ও স্বল্প মেয়াদি জাতের আমন ধান চাষ করেন কৃষকরা। ঘরে তুলতে পাড়ায় পাড়ায় মহাখুশি প্রান্তিক চাষি ও কৃষি শ্রমিকরা। ধানের ভালো ফলন ও বাজারদর পেয়ে অনেকটা অন্যবারের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগাম ও স্বল্প মেয়াদি পটলপাড়ি, ৭৬, স্বর্ণা, ৫১ ও হিরা জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের কষ্টে অর্জিত আমন ধান ঘরে তুলতে গৃহস্থদের পাশাপাশি গৃহিণীরাও সমানতালে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করছেন।

কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের কাশিরাম চর এলাকার মকবুল, মজিবর রহমান, আরিফুর ইসলাম বলেন, আগাম ও স্বল্প মেয়াদি ধান চাষ করে এবং সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে পেরে তারা মহাখুশি। তারা আরও বলেন, আগাম জাতের ধান চাষ করার কারণে একই জমিতে রবি ফসল চাষের সুযোগ পাচ্ছি।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহামুদা খাতুন বলেন, বন্যা-পরবর্তী সময়ে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি সম্প্রসারণের পক্ষ থেকে এ আগাম ধান চাষে পরামর্শ প্রদান করি। ব্রি-ধান ৭১ এবং ৭৫ জাতের ধান চাষ হয়েছে এবং বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি। কৃষকরা এ ধান আবাদ করায় একই জমিতে ৩ ধাপে চাষাবাদ করতে পারছেন।

জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, জেলায় মোট ৮৬ হাজার ৫৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। প্রতিদিনই ক্রোপ কাটিং চলছে। ইতোমধ্যে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। প্রতিদিনই ক্রোপকাটিং এর হিসাব আসছে।