মাসুম বিল্লাহ: চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট খাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যে লক্ষ্য ছিল, তা অর্জন হয়নি। লক্ষ্যমাত্রা থেকে কিছুটা পিছিয়ে এ খাতের রাজস্ব আহরণ। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কাছে পাওনা ভ্যাট পরিশোধ না করায় এ খাতে ঘাটতি হয়েছে বলে মনে করে এনবিআর। সম্প্রতি এনবিআরের শুল্ক ও ভ্যাটবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় এমন বক্তব্য উঠে আসে।
রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ১৪ হাজার ২২৯ কোটি টাকা। এর বিপরীতে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে আহরণ হয়েছে ১৪ হাজার ৪৮ কোটি টাকা। এ অর্জন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮১ কোটি টাকা কম। লক্ষ্য অর্জন না হওয়ার কারণ হিসেবে বিপিসির কাছে পাওনা দুই হাজার ২২ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় না হওয়ার কথা উল্লেখ করেন এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া অগ্রিম বাণিজ্য ভ্যাটও (এটিভি) লক্ষ্যের তুলনায় কম আদায় হয়েছে। যা সার্বিক লক্ষ্য অর্জনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে বিপিসির কাছ থেকে পাওনা অর্থ আদায়ে আলোচনা চলছে এবং এ বিষয়ে এনবিআর একটি এসআরও জারি করবে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
এদিকে এবার ভ্যাট খাতে আহরিত রাজস্ব আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি হয়েছে বলে সভায় উল্লেখ করা হয়।
প্রথম প্রান্তিকে ভ্যাট আহরণে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল যেসব কমিশনারেট, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও খুলনা। অন্যদিকে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭৭ কোটি টাকার অতিরিক্ত ভ্যাট আদায় করেছে। এছাড়া ঢাকার চারটি কমিশনারেট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ভ্যাট আহরণ করায় বোর্ডের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
Add Comment