নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাংকের লজিস্টিকস পারফরম্যান্স সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম। এর আগে ২০১৮ সালে এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০০তম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ১২ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ১৩৯ দেশকে নিয়ে এ তালিকা করা হয়েছে।
এ সূচক বিভিন্ন দেশকে ট্রেড লজিস্টিকসে তাদের দক্ষতার ক্ষেত্রে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোকে চিহ্নিত করা এবং তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে তারা কী কী করতে পারে, তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
তালিকায় এ বছর প্রথম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও দ্বিতীয় স্থানে ফিনল্যান্ড। যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডেনমার্ক, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।
২০১৮ সালে এ সূচকে প্রথম স্থানে ছিল জার্মানি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল যথাক্রমে সুইডেন ও বেলজিয়াম। চলতি বছর এ তালিকায় বড় পরিবর্তন চোখে পড়েছে।
এদিকে তালিকায় ৪৪ থেকে ৩৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। লজিস্টিকস পারফরম্যান্স সূচকে ছয় ধাপ ওপরে উঠে এলো দেশটি। সম্প্রতি অবকাঠামো, শিল্প ও টেকনোলজির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নতির কারণে ভারত এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে ১১ দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। কারণ বাংলাদেশ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এত দিন যে অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক ছাড় পেয়ে আসছিল, তার মেয়াদ আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে, তখন ভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। বর্তমানে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানি শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাচ্ছে।
২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। ফলে এত দিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছে, ওই সময় থেকে তা আর পাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বাণিজ্য চুক্তির লক্ষ্যে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য আমরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে চাই। বর্তমানে ১১ দেশের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
