Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 12:57 am

লটারির মাধ্যমে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের লটারির ড্র সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠানটির আইপিও লটারির ফল প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানে কোম্পানির চেয়ারম্যান চ্যাং ওয়েন কুই, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যু ওয়েন ফু, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মান্নান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রতিনিধি রাকিবুল হাসান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রতিনিধি আলী রাগীব, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) প্রতিনিধি সৈয়দ আখতার হোসেন ও ইস্যু ব্যবস্থাপক আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমতে, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) প্রায় ২১ লাখ ৭৪ হাজার আবেদন জমা পড়েছে, যা বরাদ্দ করা শেয়ারের তুলনায় প্রায় ৫৪ গুণ বেশি। আর এ কারণেই লটারির মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বরাদ্দ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগে কোম্পানির আইপিও আবেদন গত ৮ থেকে ১৬ জানুয়ারি জমা নেওয়া হয়। এ সময়ে দুই কোটি শেয়ারের বিপরীতে প্রায় ২১ লাখ ৭৪ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ এক হাজার ৮৭ কোটি ৪৩ লাখ। অর্থাৎ কোম্পানিটির চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫৪ গুণ বেশি আইপিও আবেদন জমা পড়ে।
জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৫৮৯তম কমিশন সভায় শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও অনুমোদন দেয়।
কোম্পানি দুই কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারদর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ওয়াশিং প্লান্ট ভবন নির্মাণ, সম্প্রসারণ, মেশিন ও সরঞ্জামাদি ক্রয়, ইটিপি সম্প্রসারণ ও ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৪৬ পয়সা। এছাড়া শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৭০ পয়সা। আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট শেফার্ডের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ শেফার্ড গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। এ গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শেফার্ড ইয়ার্ন লিমিটেড (এসওয়াইএল), শেফার্ড টেক্সটাইল বাংলাদেশ লিমিটেড ও তাইওয়ান ফুড প্রসেসিং লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন। এর মধ্যে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজে রয়েছেন ৬০০ কর্মকর্তা ও শ্রমিক।
২০০০ সালে উৎপাদন শুরু করা এ কোম্পানির প্রধান পণ্য হলো অ্যাক্রাইলিক তুলা, অ্যাক্রাইলিক উড, পিস ডাইং ও গার্মেন্ট ওয়াশ। কারখানায় উৎপাদনরত রয়েছে ১৪৩টি মেশিন, যার প্রতিদিন উৎপাদন সক্ষমতা (কটন ও কটন মিক্স) ৫০ হাজার পাউন্ড (এলবিএস)। গার্মেন্ট ওয়াশের সক্ষমতা রয়েছে দৈনিক ৫০ হাজার পিস। ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভায় শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের কারখানা। কোম্পানিটির প্রধান গ্রাহক ওয়ালমার্ট, প্রাইমার্ক, সিঅ্যান্ডএ, এইচঅ্যান্ডএম, টেসকো ওজিএপিসহ বিভিন্ন আন্তর্জতিক প্রতিষ্ঠান।