শেয়ার বিজ ডেস্ক: রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। আজ পাঁচ দিন ধরে ইউক্রেনে এ লড়াই চলছে। গতকাল পর্যন্ত গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় কমপক্ষে ২৪০ বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ৬৪ জন। খবর: বিবিসি।
যুদ্ধ থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পাশের দেশগুলোয় আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছেন। ইউক্রেনের সরকারের হিসাবে রাশিয়ার আগ্রাসন ৫০ হাজার মানুষকে শরণার্থী হতে বাধ্য করেছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি বড় শহর থেকে তুমুল লড়াইয়ের খবর আসছে। এতে দুই পক্ষের প্রাণহানি হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয়কারী সংস্থার (ওসিএইচএ) বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক কার্যালয় থেকে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। কোনো সংঘাতে হতাহতের সংখ্যা নিরূপণের ক্ষেত্রে কঠোর পদ্ধতি ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে থাকে সংস্থাটি।
ওসিএইচএ জানায়, ইউক্রেন সংঘাতে ২৪০ বেসামরিক মানুষের হতাহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছে তারা। হতাহতের পাশাপাশি বেসামরিক অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে হাজারো মানুষ বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে পড়েছেন। এসব কারণে ইউক্রেনে অবাসযোগ্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানায় ওসিএইচএ। রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বেসামরিক স্থাপনায়ও বোমা ফেলছে বলে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে।
রুশ সৈন্যদের প্রতিরোধ করতে ইউক্রেনের সৈন্যদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীরা অস্ত্রহাতে অবস্থান নিয়েছেন কিয়েভের প্রান্তসীমায়। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎসকো গত শনিবার বিকাল ৫টা থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি করে বলেছেন, এর মধ্যে বিনা অনুমোদনে কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে তাকে রুশ নাশকতাকারী বলে ধরে নেয়া হবে।