নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি দি ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। একইসঙ্গে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য দুই শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা ৬৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৪ মার্চ বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে ১৮ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৭৯ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩১ পয়সা।
এর আগে এদিকে ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে আট টাকা ৩৬ পয়সা। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৮৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ ঘাটতির
পরিমাণ ১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট আট কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৫৩ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৪ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। ওইদিন কোম্পানিটির ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার ১১২টি শেয়ার মোট তিন হাজার ৪২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৭ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৩ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৭ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানির শেয়ারদর ছয় টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।