নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ আগস্ট। এদিকে কোম্পানিটি আলোচিত হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করায় আজ ৩১ জুলাই থেকে কোম্পানিটির শেয়ার ‘বি’ ক্যাটেগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবনমিত হচ্ছে।
এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশের সুপারিশ করেনি পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাববছরের এজেন্ডাগুলোয় শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করেছে কোম্পানিটি। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২০ আগস্ট। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ। ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাববছরের জন্যও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৬ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।
২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মোট ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫০ দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ বা ২ টাকা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২১ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। এ দিন কোম্পানিটির মোট ৬২ হাজার ৮২৬টি শেয়ার মোট ১৮৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজারদর ১৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২৩ টাকায় লেনদেন হয়। তবে গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২০ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৩ টাকা ৬০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।