লভ্যাংশ দেবে না প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি আলোচ্য হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ দেবে না। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৫ পয়সা (লোকসান) এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৪ টাকা ৮৩ পয়সা। এছাড়া আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ৭৫ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর বেলা ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ অক্টোবর।

আর গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ডিএসইতে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ বা ১ টাকা ৫০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৪ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে এক লাখ ৮৬ হাজার ১৯৯টি শেয়ার মোট ২৮৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০০ কোটি ৫২ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট তিন কোটি ৮২ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার।

এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন হিসাববছরে কোম্পানিটি ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৩ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৬৫ পয়সা। এছাড়া আলোচ্য হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিলেও ২০২০ সালে এক শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৯৩ পয়সা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় হয় এক টাকা পাঁচ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৭২ পয়সা। ওই বছর মোট মুনাফা করেছে ৪ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০