Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 12:56 am

লভ্যাংশ দেবে না ফ্যামিলি টেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোনো লভ্যাংশ দেবে না কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৬৩ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ না দেওয়ায় তাই ‘বি’ ক্যাটেগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে কোম্পানিটির অবনতি হলো। ‘জেড’ ক্যাটেগরির অধীনে আগামী রোববার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে।

এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক জারি করা নিয়ম অনুযায়ী স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো সিকিউরিটির ক্যাটেগরি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত ক্যাটেগরিতে ওই সিকিউরিটি ক্রয়ের জন্য মার্জিন ঋণ প্রদানে নিষেধাজ্ঞা জানানো হয়েছে। ক্যাটেগরি পরিবর্তনের প্রথম ৩০ দিন এ ঋণ দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ, আগামী রোববার থেকে পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য জন্য পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল সাত পয়সা ও এনএভি ১২ টাকা ২৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার পয়সা লোকসান ও ১২ টাকা ৯৮ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের চার দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৭৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ শেয়ার।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১১ দশমিক ১১ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ দুই টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। যার সমাপনী দরও ছিল দুই টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ দুই টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দুই টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে। এদিন ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৫টি শেয়ার ৮০৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ছয় লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর দুই টাকা ১০ পয়সা থেকে ছয় টাকায় ওঠানামা করে।