Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 9:53 pm

লভ্যাংশ পাঠিয়েছে আরএকে সিরামিকস

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে সিরামিক খাতের কোম্পানি আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে আরএকে সিরামিকসের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচিত সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৬ পয়সা আর ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া এ আর্থিক বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৭০ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস কমেছে আট পয়সা।

২০২০ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১৮ টাকা ৪২ পয়সা। আর ২০২০ সালের ৩১ মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৫৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ৪৭ পয়সা ছিল।

এছাড়া কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে করপরবর্তী মুনাফা আগের বছরের তুলনায় তিন কোটি ৪২ লাখ টাকা কমেছে। ২০২০ সালের ২১ মার্চ সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে মোট করপরবর্তী মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আগের বছর ছিল ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এর আগে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। ওই সময় কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় দুই টাকা ২৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৯৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৮৮ পয়সা ও ১৮ টাকা ২৫ পয়সা।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৬ টাকা। দিনজুড়ে আট হাজার ৯৬৭টি শেয়ার মোট ছয় বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই লাখ ৩৩ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ২৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৬ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটির ৪২ কোটি ৭৯ লাখ ৬৮ হাজার ৭০১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার।