লভ্যাংশ পাঠিয়েছে এশিয়া ইন্স্যুরেন্স ও হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এবং সিমেন্ট খাতের কোম্পানি হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সাড়ে ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা।

এদিকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ২২ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৭১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৮৮ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৫৫ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৮ টাকা ৩ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৭ টাকা ২৯ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ২৯ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।

‘এ’ ক্যাটেগরির বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৭ কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির চার কোটি ৭০ লাখ ৬৯ হাজার ৮৫৮ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৪২ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫১ শতাংশ শেয়ার।
হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশ পিএলসি: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ১৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৭ টাকা ২০ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৭৮ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪ টাকা ১৩ পয়সা (লোকসান)। আর ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৩২৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৩ হাজার ৫৮০ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ২৮ দশমিক ২৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ১১ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০