লভ্যাংশ পাঠিয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে এবং বোনাস লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনারস (বিও) হিসাবে পাঠিয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ জুন ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি সাত শতাংশ নগদ ও ৯ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা চার পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ১৭ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে চার টাকা ৪০ পয়সা।

এদিকে সম্প্রতি প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ নতুন মেশিনারিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলারের নতুন মেশিনারিজ কিনবে বলে জানায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ক্রেতাদের পছন্দ এবং চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসার সম্প্রসারণ তথা কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থার্মোসল ডায়িং, সলিড ডায়িং, কনটিনিয়াস ওয়াশিং এবং ব্লিচিং ইউনিট মেশিন কিনবে। এলসির মাধ্যমে এ মেশিন দুটি কিনতে খরচ পড়বে ৯৭ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার। আর এ মেশিনারিজ কিনতে কোম্পানিটি পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ-সুবিধা নেবে।

একই সঙ্গে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৯) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর গত বছরের তুলনায় এ বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৩৪ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল ৫৯ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭৫ পয়সা। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫১ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২২ টাকা ১৭ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ছয় পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল ৩৪ পয়সা।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সাত শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আলোচিত সময় কোম্পানিটি ইপিএস করে দুই টাকা ১৫ পয়সা এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২০ টাকা ৭৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৯২ পয়সা ও ২১ টাকা ২৮ পয়সা।

এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির তিন লাখ ৬৪ হাজার ৯১৬টি শেয়ার মোট ৩৩২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। ওইদিন শেয়ারদর এক দশমিক ২৩ শতাংশ বা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫৭ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫৭ টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫৭ টাকা ৮০ পয়সায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৪৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৭৫ টাকায় ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ১৪ কোটি ৭৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮১৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ১১ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিদেশি চার দশমিক ১২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২৩ দশমিক ৬২ শতাংশ শেয়ার। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাত ১৮ দশমিক ৮৮ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১০ দশমিক ৭১।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০