নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স (এনসিসি) ব্যাংক লিমিটেড ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ঘোষিত ক্যাশ ডিভিডেন্ড বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে, আর যারা ক্যাশ ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট পায়নি তাদের কোম্পানির শেয়ার ডিপার্টমেন্ট থেকে সংগ্রহের কথা জানিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এনসিসি ব্যাংক: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় যথাক্রমে দুই টাকা ৯ পয়সা ও ১৯ টাকা ৪৬ পয়সা ছিল।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ১৩ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৮০ পয়সা। দিনজুড়ে তিন লাখ ১৮ হাজার ১৪৮টি শেয়ার মোট ১২৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪০ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৮ টাকায় ওঠানামা করে।
২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৮৮৩ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৩৫ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৮ কোটি ৩২ লাখ ১৮ হাজার তিনটি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী এক দশমিক ২৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৫৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৭৩ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর দুই দশমিক ৬৭ শতাংশ বা এক টাকা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ৮০ হাজার ৬৮৩টি শেয়ার মোট ১৭২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৮ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৬১ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠানামা করে।
এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরেও ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। যা তার আগের বছরের সমান। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৫৩ পয়সা ও ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ৩৮ টাকা ৮৬ পয়সা। যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে তিন টাকা ৩৬ পয়সা ও ৩৭ টাকা ৩৩ পয়সা। ২০১৭ সালে মুনাফা করেছে ১৫ কোটি ১৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা তার আগের বছর ছিল ১৪ কোটি ৪৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি। অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮৮ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
লভ্যাংশ পাঠিয়েছে এনসিসি ব্যাংক ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স
