নিজস্ব প্রতিবেদক: কোম্পানি ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে দুই কোম্পানি ও বিওতে রাইট শেয়ার পাঠিয়েছে ইফাদ অটোস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রেনাটা: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানি ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। আর যেসব বিনিয়োগকারীর ফোলিও নম্বর ও বিইএফটিএন সুবিধা নেই, তাদের লভ্যাংশ সাত থেকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে কোম্পানিটির করপোরেট অফিসের অ্যাফেয়ার্স বিভাগ থেকে ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে বা অনুমোদিত প্রতিনিধির মাধ্যমে তা সংগ্রহ করতে পারবে। যদি এ সময়ের মধ্যে তা সংগ্রহ করতে না পারে, তবে তা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হবে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে ১৩০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৪৩ টাকা ৯৮ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২১২ টাকা ৫৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৬৭ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে গত ১ জানুয়ারিতে পাঠিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৭৯ পয়সা ও এনএভি হয়েছে ১৫ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৯ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
গতকাল শেয়ারদর অপরিবর্তিত থেকে প্রতিটি সর্বশেষ ১৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। ওইদিন দুই লাখ ২৯ হাজার ১০০টি শেয়ার মোট ২২৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৮ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ২৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়।
ইফাদ অটোস: ঘোষিত রাইট শেয়ার গত বুধবার বিও হিসাবে পাঠিয়েছে। ২আর:৫ অনুপাতে অর্থাৎ পাঁচটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে দুটি রাইট শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন পেয়েছিল কোম্পানিটি। এ রাইট শেয়ারের মাধ্যমে কোম্পানিটি ছয় কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার সাধারণ শেয়ার বাজারে ছাড়ে। আর এতে ১০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি বাজার থেকে ১২৪ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে।