শেয়ার বিজ ডেস্ক : কপ-২৭ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে ঐতিহাসিক ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। খবর: বিবিসি।
গত শনিবার মিসরের শারম-আল-শেখে প্রেসিডেন্ট সামি শৌকরি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন। এরপর সম্মেলন কক্ষ করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে। তবে এ চুক্তিতে ধনী দেশগুলো কীভাবে ক্ষতিপূরণ দেবে, আর ক্ষতিগ্রস্তরাই বা কীভাবে ক্ষতিপূরণ পাবে, তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। জলবায়ু পরিবর্তনে গরিব দেশগুলোর ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতে এবারের সম্মেলনে ব্যাপক দেন-দরবার চলছিল।
এ ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ টার্মটি মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত গরিব দেশগুলোকে সহায়তায় একটি তহবিলের প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখায় শতকের পর শতক ক্ষতিপূরণ টানতে হতে পারেÑএ ভয় থেকে ধনী দেশগুলো গত ৩০ বছর ধরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনায় বাধা দিয়ে আসছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা, নাইজেরিয়া ও অন্যত্র জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিস্থিতি বদলে যায়। এ কারণে শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ক্ষয়ক্ষতির ইস্যুটি মিসরের সম্মেলনে প্রধান আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।
এ নিয়ে কূটনীতিকদের লাগাতার আলোচনা চলে। শনিবার রাতেও আলোচকদের মধ্যে হতাশা ফুটে ওঠে। তবে সমঝোতার ঘোষণা আসার পর সম্মেলন কক্ষের চিত্র বদলে যায়, সবার চোখেমুখে উচ্ছ্বাস ও স্বস্তি দেখা যায়। গরিব দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে সমঝোতা হওয়ার পর এখন সম্মেলনের ঘোষণা নিয়ে আলোচনা চলছে। নানা মতবিরোধ থাকায় এ ঘোষণা ঠিক করতেও বেশ সময় লাগতে পারে বলে বিশ্লেষকদের অনুমান।
এছাড়া গত সপ্তাহে এক আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গণ-অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতি কমাতে সংঘবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। অভ্যন্তরীণ স্থানচ্যুতি-বিষয়ক বৈশ্বিক প্রতিবেদন ২০২১ অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বে আনুমানিক ২১৬ মিলিয়ন মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অভ্যন্তরীণ অভিবাসী হতে পারে। কপ-২৭ উপলক্ষে আয়োজিত এ বিশেষ সাইড-ইভেন্টে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মানব গতিশীলতা-বিষয়ক নানা বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, সুশীল সমাজ এবং বিশেষজ্ঞরা যোগ দেন।