Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 1:56 pm

লাইলি-মজনু ও লালসালু এখন এমসি ক্যাম্পাসে  

আজহার উদ্দিন শিমুল: লাইলি-মজনুর প্রেমকাহিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত। লোকমুখে এখনও লাইলি-মজনুর প্রেমকাহিনি শোনা যায়। এবার একটু ব্যতিক্রমী উপায়ে হাজির হয়েছে সে কাহিনি। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে উপাধ্যক্ষের কক্ষের সামনে লাইলি-মজনু নামে রোপণ করা হয়েছে একটি উদ্ভিদ। উদ্ভিদটি দেখতে বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয়। আকারে ছোট হলেও এ গাছে রয়েছে অসংখ্য পাতা। পাতার উপরিভাগ গাঢ় সবুজ। নিচের অংশ রক্তবর্ণের মতো লাল। উদ্ভিদটির ইংরেজি নাম চায়নিজ ক্রোটন অ্যান্ড জঙ্গল ফায়ার প্লান্ট।

‘লাইলি-মজনু’ নামকরণ প্রসঙ্গে কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল খালেক বলেন, এ গাছের পাতার ওপরের অংশ সবুজ ও নিচের অংশ লাল। সবুজ ও লাল অংশ ছায়ার মতো। একে বন্ধন বলা হয়। বন্ধন বা প্রেমের প্রতীক হিসেবে লাইলি-মজনুর কথা বলা হয়। এজন্য এর নাম রাখা হয়েছে ‘লাইলি-মজনু’। তিনি আরও বলেন, গাছটি বিরল প্রজাতির। উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি সংরক্ষণ ও কলেজের সৌন্দর্য বাড়াতে লাইলি-মজনু রোপণ করা হয়েছে। এ প্রজাতির গাছ এখন বিলুপ্তির পথে। একই পাতায় দুই রঙের সংমিশ্রণ গভীর এক সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছে।

লাইলি-মজনুর পর রয়েছে আরও চমক। নতুন করে সংযোজন হয়েছে ‘লালসালু’ নামের আরেকটি উদ্ভিদ। লালসালুু দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। লালসালুু নামের উদ্ভিদটি রোপণ করা হয়েছে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে।

লালসালু উদ্ভিদ সম্পর্কে আবদুল খালেক বলেন, এটি গুল্মজাতীয় গাছ। গাছটির কাণ্ড ও পাতা লাল বলে এর নাম ‘লালসালু’ রাখা হয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম ঊঁঢ়যড়ৎনরধ ঈড়ঃরহরভড়ষরধ।

উদ্ভিদ দুটি প্রসঙ্গে কথা হয় কলেজের উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জির সঙ্গে। তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী গাছ রোপণের মাধ্যমে কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।