নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের চার মোবাইলফোন অপারেটরকে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফোরজি লাইসেন্স দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ ঢাকা ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের হাতে ফোরজি লাইসেন্স তুলে দেন। লাইসেন্স পাওয়ার পরই রাজধানীতে স্বল্পপরিসরে ফোরজি সেবা চালু করেছে বেসরকারি তিনটি সেলফোন অপারেটর।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলি, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, বাংলালিংকের সিইও এরিক অস এবং টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী গোলাম কুদ্দুস ফোরজি লাইসেন্স গ্রহণ করেন।
লাইসেন্স গ্রহণের পর গতকাল সন্ধ্যায় বাংলালিংক ২০০’র বেশি পয়েন্টে, গ্রামীণফোন ৮০ ও রবি ১৭৯ পয়েন্টে ফোরজি সেবা চালু করেছে। যেসব গ্রাহক এরই মধ্যে ফোরজি সিম সংগ্রহ করেছেন, তারা ওইসব পয়েন্টে এ সেবা পেতে শুরু করেছেন। তবে লাইসেন্স নিলেও টেলিটক এ সেবা এখনও চালু করেনি।
অপারেটররা বলছে, এ সেবা শুরুর মানে হলো ‘ইন্টারনেট এক্সপ্রেসওয়েতে’ উঠে যাওয়ার পাশাপাশি ধীরগতির ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে ইন্টারনেটে গ্রাহকরা এখন চওড়া রাস্তায় ছুটবেন।
ফোরজি লাইসেন্স নিতে গত জানুয়ারিতে আবেদন করে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক ও বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেল। তবে গত মঙ্গলবার নিলামে অংশ নিয়ে ফোরজি তরঙ্গ কিনেছে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। রবি তাদের হাতে থাকা তরঙ্গ প্রযুক্তি নিরপেক্ষতায় রূপান্তর করে ফোরজি সেবায় আসছে। টেলিটকও একইভাবে এ সেবা দেবে। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া অপারেটর সিটিসেল ফোরজি তরঙ্গ নিলামে অংশ না নেওয়ায় পুনরায় চালুর সম্ভাবনা থেকে ছিটকে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ফোরজি তরঙ্গের নিলাম ও প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুবিধা বিক্রি করে ভ্যাটসহ পাঁচ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে বিটিআরসি। লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।