প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার : বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন্যপ্রানীর মৃত্যুরোধে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এর মধ্যস্থিত রেলপথে ট্রেনের গতি (সর্বোচ্চ ২০ কি.মি) নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (০৩ মার্চ) সকাল ১১ টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন আসা সিলেট গামী পারাবত এক্সপ্রেস স্টেশনে থামলে ট্রেনের চালককে লাউয়াছড়া বনের ভিতরে ট্রেনের (২০ কিলোমিটার) গতিতে যাতায়াত করতে অবহিত করা হয়।
বন বিভাগের আয়োজনে শ্রীমঙ্গল ও ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন এবং লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানস্থ রেলপথে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় স্কাউট এর সদস্যরা প্লেকার্ড হাতে নিয়ে ট্রেনের গতি (সর্বোচ্চ ২০ কি.মি) নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা মেহেদী সরোয়ার, শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাংবাদিক রুপম আচার্য্য, পরিবেশ কর্মী কাজী সামছুল হক, তাপস দাশ, পঙ্কজ ভট্টাচার্য, তুষার দেব, রাজিব দেবনাথ প্রমূখ।
এসময় রেজাউল করিম চৌধুরী বক্তব্যে বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রচুর বন্যপ্রাণী রয়েছে। এসব বিরল প্রজাতির প্রাণীদের আবাসস্থল এখানে। এই বনের মধ্যে রেল লাইন রয়েছে। দ্রুত গতিতে ট্রেন যাতায়াতের কারণে বহু বন্যপ্রাণী আহত ও নিহত হয়। এ জাতীয় অনেক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে এই লাউয়াছড়ায়। টুকরো টুকরো হয়ে যায় অনেক প্রাণী। আজকের কর্মসূচিতে আমরা সকলেই একত্রিত হয়েছি, যাতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে ট্রেনগুলো সর্বোচ্চ (২০ কিলোমিটার) গতিতে যাতায়াত করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সম্প্রতি রেল মন্ত্রণালয় কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ে’কে নির্দেশ দিয়েছে যে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভিতর সকল ট্রেন (২০ কিলোমিটার) গতিতে যেনো যাতায়াত করে। আমরা সেটি বাস্তবায়নের জন্যই আজ এই কর্মসূচি পালন করেছি।’
