নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড এবং মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল) এবং ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’। আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের জন্য ৫০ শতাংশ হারে চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৮৩ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৪ মে বেলা ৩টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ মার্চ।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ২৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৭৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা তিন পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৮৯ পয়সা।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৬০৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২০ দশমিক ২১ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারী শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৫ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড: কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘বিবি প্লাস’। আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৪’। ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
বস্ত্র খাতের ‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০০ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০ কোটি ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৭৪ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৬ দশমিক ৩০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৩৪ দশমিক ০৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (শুধু সাধারণ শেয়ারহোল্ডার) দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ২৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৭১ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি তিন শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫২ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ১৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১০ টাকা ৩৯ পয়সা (লোকসান)।