নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন তালিকার শীর্ষে ছিল সিমেন্ট খাতের তালিকাভুক্ত লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড। গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির মোট ৪৮ কোটি ৫৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির ৬১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৯৯টি শেয়ার মোট পাঁচ হাজার ৭৫৬ বার লেনদেন হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে চার দশমিক ৫৮ শতাংশ তিন টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৭৯ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭৯ টাকা ৯০ পয়সা। শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭৭ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮০ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৫৫ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটি ২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ২০১৫ সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৪৩ পয়সা ও ১১ টাকা ৪১ পয়সা। ওই সময়ে কর-পরবর্তী মুনাফা করেছিল ২২৮ কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা আগের বছর মুনাফা ছিল ১৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ২০১৪ সালেও কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ৩২ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় ছিল ৩২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত এনএভি ছিল ১৩ টাকা এক পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৩৭ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে ৪৪ কোটি ৫৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ৩৮ পয়সা, যা প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা ছিল ৪৯ কোটি ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং ইপিএস ছিল ৪৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য পাঁচ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ১৬১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ২৭৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (ইপি) অনুপাত ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ৫০ দশমিক ৭১ শতাংশ। কোম্পানিটির ১১৬ কোটি ১৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৬৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে এক দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার।
Add Comment