নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিভিন্ন শ্রেণির বিনিয়োগকারী রয়েছেন। বুদ্ধিমান, ফাটকাবাজ আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিয়েই বাজার। এখানে গুজব থাকবে। থাকবে দর বৃদ্ধি ও দর হ্রাস। বাজারে কেউ লোকসান করবেন; আবার অনেকেই লাভ করবেন। পুঁজিবাজারে ভালো সময় থাকে; মন্দ সময়ও থাকে। বাজার যখন ভালো থাকে, তখন কিন্তু মন্দ সময়ের কথা কেউ মনে রাখেন না। এ-বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। বেশি দামে শেয়ার কিনলে বেশি ঝুঁকি। আর কম দামে কিনলে ঝুঁকি কম থাকে। তাই সবকিছু চিন্তা-ভাবনা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তেজি বাজারে কম দামের শেয়ার কিনতে হবে, বেশি দামের শেয়ার লাভে বিক্রি করতে হবে। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএমএসএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রিয়াদ মতিন ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হাসান মাহমুদ বিপ্লব।
মো. রিয়াদ মতিন বলেন, বাজারে গুজব থাকবে। পৃথিবীর সব দেশের পুঁজিবাজারে নানা ধরনের গুজব থাকে। আর গুজবের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও বিভিন্ন মতামত থাকে। তারা শেয়ার নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকেন। বাজার যখন একটু ভালো হয়, তখন মানুষের প্রত্যাশা বাড়ে। ব্যাংক খাতের বর্তমান প্রাইজ ভালো। বেশ কয়েকটি ব্যাংকের মূল্য দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। আট মাস আগে কিন্তু এটা কল্পনা করা যেত না।
তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের পর এখন অনেক কোম্পানিরই লভ্যাংশ ঘোষণার সময়। কিন্তু সেদিকে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। এখন বিনিয়োগকারীদের ঝোক ব্যাংক খাতের দিকে। বিশেষ করে নতুন বিনিয়োগকারীদের। এর কারণ হতে পারে, পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতের শেয়ারে স্বচ্ছতা বেশি; তাই এ খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি। শেয়ারে বিনিয়োগের কৌশল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো শেয়ারে লাভ হলে বিক্রি করতে হবে। পাশাপাশি ভালো শেয়ারের দর কমে গেলে সে শেয়ারে বিনিয়োগ করতে হবে।
হাসান মাহমুদ বিপ্লব বলেন, পুঁজিবাজারে গুজব থাকবে। বিনিয়োগকারীদের মতামত থাকবে। এসব কিছু নিয়েই বাজার ঘুরপাক খেয়ে থাকে। বর্তমান আলোচনায় রয়েছে ব্যাংক খাত। কারণ কয়েকটি ব্যাংক শেয়ারের দাম বেড়েছে। এসব ব্যাংকে বড় ধরনের বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। পাশাপাশি অন্য সব ব্যাংকের দরও বাড়ছে। তিনি বলেন, আমাদের বাজারের একটি বড় সংকট হলোÑযখন কোনো খাতের এক বা দুটি শেয়ারের দর বাড়ে, তখন পুরো খাত ধরে বাড়ে। ব্যাংক খাতে এখন সে অবস্থাই চলছে। এ খাতের অনেক শেয়ারই গত ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ প্রাইসের চেয়ে বেশি দামে কেনাবেচা হচ্ছে। এ কারণে এসব শেয়ারে ঝুঁকি বাড়ছে। কোনো কারণে বাজার পড়ে গেলে বিনিয়োগও ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।