ফারুক আলম, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট স্থানীয় আওয়ামী লীগ নতুন করে জোর দিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন সম্মেলনগুলো করছে। টানা এসব সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব বের হচ্ছে। দীর্ঘ বিরতির পরে সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগের ইউনিটগুলোয় চলছে উৎসবের আমেজ।
আগামী ৮ অক্টোবর আদিতমারী উপজেলা কমিটির সম্মেলন করবে দলটি। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান। বিশেষ অতিথি সাখাওয়াত হোসেন শফিক ও সমমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে জেলার পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা উপজেলার সম্মেলন হয়েছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর সমাজ কল্যাণমন্ত্রীর নিজ আসনের কালীগঞ্জ উপজেলার সম্মেলন হয়। এতে সভাপতি হিসেবে আবার মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহেমদ ও সেক্রেটারি হিসেবে নির্বাচিত হন মিজানুর রহমান মিজু। এসব সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের ৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ৯ অক্টোবর লালমনিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিন নির্ধারণ করে দলটি। তবে ৯ তারিখের সদর সম্মেলন চার দিনের ব্যবধানে স্থগিত করা হয়েছে।
আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রগুলো বলছে, মোহাম্মদ আলী, রফিকুল আলম ও মিজানুর রহমানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে প্রচার-প্রচারণায় ঘাটতি আছে বলে তারা দাবি করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা জোর দিয়ে তাদের নাম প্রকাশ করছেন না।
মহিষখোঁচা ইউনিয়নের সেক্রেটারি কামাল মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছেÑআলম, মোহাম্মদ আলী ও মিজান। প্রচার-প্রচারণায় এখন পর্যন্ত তেমন দেখা যাচ্ছে না।
সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল বলেন,আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সম্মেলন সফল করার যাবতীয় কার্যক্রম আমাদের রয়েছে। সম্মেলনে আমাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকবে।
জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, সদর আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। জেলা কমিটির পক্ষ থেকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। ডেলিগেটস ও কাউন্সিলরদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। অতিথিদের তালিকা ও পোস্টার করা হয়েছে। ৮ তারিখে আদিতমারীর সম্মেলন জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজিত হবে।
সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধার সম্মেলন হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাকিগুলো হচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসুক, এটা তো আমরা চাই। তিনটা কমিটি আছেÑওয়ার্ড, কাউন্সিলর ও ডেলিগেট। আমরা তাদের ওপরে ছেড়ে দিই। তারা যা সীদ্ধান্ত নেন, আমরা সেটাই মেনে নিই।