Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 8:27 pm

লালমনিরহাটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান, বাড়ছে দুর্ঘটনা

 ফারুক আলম, লালমনিরহাট: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধযান। অদক্ষ চালকের কারণে এসব যানবাহনের মাধ্যমে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জানা যায়, ২০১৫ সালের আগস্টে দেশের ২২টি মহাসড়কে মাটি টানার কাজে ব্যবহƒত ট্রাক্টর, থ্রিহুইলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, রিকশাভ্যান, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। পরে ২০১৭ সালে হাইকোর্ট বিভাগ দেশের সব মহাসড়কে এসব যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব অবৈধযান জেলার মহাসড়কে চলছে। মহাসড়কে পড়ে থাকা নরম কাদা মাটি এবং লাইসেন্স ও রুটপারমিটবিহীন এসব যানবাহনের কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এসব ট্রলি কিংবা ট্রলি চালকের নেই কোনো বৈধ কাগজ। নম্বর প্লেট থেকে মালিকানার কাগজও নেই অনেকের। কোনো রকম শ্যালো ইঞ্জিন বসিয়ে বানানো হয়েছে ট্রাক। মাটিকাটার ট্রাক্টর-পাওয়ারটিলার দিয়ে টানা হচ্ছে ট্রলি। বহন হচ্ছে ভারি সব মালামাল। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে নেই কোনো স্কেল বা বাধ্যবাধকতা।

বাস ট্রাকের মতো বৈধ পরিবহনের চলাচলে নিয়মিত বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এমন যান চলাচল। বড় গাড়িচালকরা এসব ট্রলির কারণে সাইড নিতে দিতে এবং গতি নিয়ন্ত্রণেও সমস্যায় পড়েন বলে জানিয়েছে। কিন্তু চোখের সামনে অবৈধ এ যানের অবাধ চলাচল দেখেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে উপজেলার সর্বত্র।

আমদানিকারকরা এসব ট্রাক্টর বিক্রি করে ইটভাটার মালিক, কাঠ ব্যবসায়ীসহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে। ট্রাক্টর ও এর ড্রাইভারের জন্য কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন না হওয়ায় সহজেই এসব পরিবহন কিনে আনে ব্যবসায়ীরা। তারা এসব ট্রাক্টর কিনে কৃষি কাজের পরিবর্তে ব্যবহার করছে পরিবহন কাজে। ফলে উপজেলায় ট্রাক্টরের সংখ্যা ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে তার ব্যাপক প্রভাব বিস্তার রয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, এসব যানের বিরুদ্ধে সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে। ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ সেভাবেই কাজ করছি। আমরা এগুলোর বিপক্ষে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, সড়কে ট্রাক্টরের চলাচল কিংবা পূর্ণ সামগ্রী বহনের অনুমতি নেই, জনগণের নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যান চলাচল করতে দেয়া হবে না, প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।