জাহেদুল ইসলাম সমাপ্ত, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে ধানের ক্ষতিকর মাজরা পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই কোনো ধরনের বিষ প্রয়োগ না করে পোকা দমনের এ পদ্ধতি কৃষকের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ফসলি জমিতে লম্বা গাছের ডাল, বাঁশের খুঁটি বা কঞ্চি পুঁতে রাখাই পার্চিং পদ্ধতি। এতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ওই খুঁটিতে বসে জমির উপরিভাগের পোকা খেয়ে ফসল সুরক্ষা করে। ফলে জমিতে ক্ষতিকর মাজরা পোকার আক্রমণ হয় না। ফসল ভালো হয় ও আর্থিকভাবে কৃষক লাভবান হন।
সদর উপজেলার কোদালখাতা গ্রামের কৃষক লোকমান, মোস্তাফিজার, আনোয়ারসহ কয়েকজন জানান, আগে জমিতে মাজরা পোকা দমনের জন্য কীটনাশক দেওয়া হতো। তাতেও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যায়। কিন্তু গত দুবছর থেকে কৃষি বিভাগের লোকজনের পরামর্শে কোনো ধরনের কীটনাশক জমিতে না দিয়ে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করেছেন। এখন আর জমিতে কোনো মাজরা পোকার আক্রমণ নেই; তাই ফসল ভালো হচ্ছে।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, প্রতি বছর কৃষককে উৎসাহ প্রদান করতে পার্চিং উৎসব করা হয়। চলতি বোরো মৌসুমে ধানের ফলন নিশ্চিত করতে উপজেলার প্রতিটি ব্লকে কৃষকদের নিয়ে পার্চিং উৎসব করা হচ্ছে।