নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধিতে কোম্পানিটির গত ১৯ মার্চ থেকে পরবর্তী সময়ের লেনদেনের ওপর তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) নির্দেশনা দিয়ে একটি আদেশ জারি করেছে কমিশন। সেই সঙ্গে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোম্পানিটির শেয়ারের দর ১৯ মার্চ ৪২ টাকা ৩০ পয়সা ছিল, যা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখে ১৩৬ টাকা ৫০ পয়সা হয়েছে। শেয়ার মূল্যের অস্বাভাবিক গতিবিধির জন্য উক্ত কোম্পানিটির ১৯ মার্চ হতে পরবর্তী সময়ের জন্য লেনদেনের ওপর তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর ডিএসইকে বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
গত ১ মার্চ লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৩৯ টাকা। সেখান থেকে দাম বেড়ে ১০ এপ্রিল প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯৭ টাকা ৭০ পয়সায় ওঠে। এরপর কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়ে ৬৫ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে। এ মূল্য সংশোধনের পর আবার বাড়তে থাকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম। এতে প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০০ টাকায় উঠে যায়।
অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েক দফায় নোটিশ পাঠায় ডিএসই। সর্বশেষ গত ২৩ মে ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে সতর্কতা বার্তা প্রকাশ করা হয়। সতর্ক বার্তায় বলা হয়, লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটি কর্তৃপক্ষকে নোটিশ করা হয়। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্প্রতি শেয়ারের যে দাম বেড়েছে এবং লেনদেন বেড়েছে তার পেছনে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।
ডিএসই থেকে যখন এ সতর্ক বার্তা প্রকাশ করা হয়, সে সময় লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৯০ টাকা ৩০ পয়সা। এরপর দাম বাড়ার প্রবণতা আরও বেড়ে ৬ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৩৬ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠে।
এরপর আবার কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়। ১৬ আগস্ট প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০১ টাকা ৫ পয়সায় নেমে আসে। এরপর আবার দাম বাড়তে দেখা যায়। ৫ সেপ্টেম্বর লেনদেন শেষে প্রতিটি শেয়ারের দাম ১২৬ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়ায়।